দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডব চলছে গোটা বিশ্বে। প্রতিদিন বাড়ছে লাশের সংখ্যা। বাংলাদেশেও করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। যার ফলে থমকে গেছে প্রাথমিকসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠন। যদিও অনলাইনে চলছে ক্লাস, তবে এই পদ্ধতিতে স্কুলের আবহ যে বাড়িতে তৈরি হচ্ছে না তাতে দ্বিমত নেই শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক ও শিক্ষকদেরও।
তবে সব কথার শেষ কথা, লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানতো খুলতেই হবে। কিন্তু এই করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে সেটা চালু হবে? কী কী নিয়ম বদল হবে? নাকি আগের মতোই থাকবে সব কিছু?
এদিকে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোও। তবে লকডাউন পরবর্তী সময়ে স্কুল খুললে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মান্য করে বাচ্চাদের করোনা থেকে মুক্ত রাখা হবে সেটা নিয়ে দেশটির সরকার ইংল্যান্ডের স্কুল, কলেজ এবং শিশু যত্নকেন্দ্রের জন্য কঠোর ৬ দফা পরিকল্পনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য সেই শর্ত গুলো নিচে তুলে ধরা হল-
১. ঝুঁকি মূল্যায়ন করা- স্কুল খোলার পূর্বে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে হবে। যাতে শিশু, যুবক এবং কর্মীদের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য বাস্তব সম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
২. করোনাভাইরাস সংযুক্ত কোনো বাচ্চা ফিরে আসতে পারবে না- শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরে আসার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা বা তাদের পরিবারের কোনো সদস্যের করোনা সংক্রমণ ছিল না। এমনকি পরিবারের কারো ভাইরাসের লক্ষণ থাকলেও শিশু এবং অল্প বয়স্করা যাতে স্কুলে উপস্থিত না হয় সেটা নিশ্চিত করা।
৩. নিয়মিত হাত ধোয়ার প্রচার চালাতে হবে- স্কুলগুলো ও এর আশেপাশে অবশ্যই স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি পানি এবং সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য নিয়মিত হাত ধোয়ার প্রচার করতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যকর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. আরো ঘন ঘন পরিষ্কার করুন- স্কুল খোলার পূর্বে ঘন ঘন স্পর্শকৃত পৃষ্ঠগুলো যেমন- ডোর হ্যান্ডল, চেয়ার-টেবিল, ট্যাবলেট, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনাগুলো। এভাবে বারবার পরিষ্কার করলে এগুলো ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবে।
৫. ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পরিমাণ কমিয়ে আনা- ছোট ক্লাস বা গ্রুপের মাধ্যমে ক্লাস চালু করতে হবে। পারস্পারিক যোগাযোগ হ্রাস করা এবং পরিবেশের যতটা সম্ভব পরিবর্তন করা, যেমন- শ্রেণিকক্ষগুলোর বিন্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
৬. গ্রুপগুলোর মধ্যে পারস্পারিক মিশ্রণ হ্রাস- স্কুলের সময় পরিবর্তন করা। একেক গ্রুপ একেক সময় ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে বিরতির সময় পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়া না ঘটে। সরকার অচলিত ড্রপ-অফ এবং সংগ্রহের সময় প্রবর্তনের ধারণাটিও প্রস্তাব করেছে। আপনার অঞ্চলে স্কুল খোলার সর্বশেষ সংবাদের জন্য আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। সূত্র- ল্যাঙ্কস লাইভ।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন